শ্বেতী রোগের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা {ডা:সৈকত দাস}








আমাদের দেহের মেলানোসাইট মেলানিন তৈরি করা বন্ধ করে দিলে সাদা সাদা প্যাচের মতো তৈরি হয়। আর একে শ্বেতী রোগ বলে। বর্তমানে শ্বেতী রোগের বেশ উন্নত চিকিৎসা রয়েছে।
শ্বেতী রোগের চিকিৎসার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ৩৩০৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম। বর্তমানে তিনি ঢাকা ডার্মাটোলজি ইনস্টিটিউট ও লেজার ট্রিটে ডার্মাটোলজি বিভাগে প্রধান পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : শ্বেতী রোগী মানসিক ও সামাজিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময় রোগী ও তাদের আশপাশের লোকেদের কীভাবে আশ্বস্ত করেন?
উত্তর : শ্বেতী রোগ নিয়ে আমি অনেক কাজ করেছি আপনি জানেন। প্রতিদিন প্রায় ১০০ রোগীও দেখেছি শ্বেতী রোগের। আজ প্রায় ১৮-১৯ বছর ধরে কাজ করছি। শ্বেতী রোগীদের সঙ্গে আমার অনেক মেশার সুযোগ হয়েছে। তাদের কষ্ট, দুঃখ, বঞ্চনা এগুলো আসলে আমাকে খুব স্পর্শ করে।
দুটো বিষয় রয়েছে, আমরা প্রথমেই মোটা দাগে ভাগ করে নিই। শরীরের কতটুকু হলো সেটি দেখি। যদি কারো ৫০ ভাগের বেশি সাদা হয়ে যায়, তাকে উন্টার প্রোসেস বলি আমরা। আর কালো করতে দেই না। আমরা ডি পিগমেন্টিং প্রক্রিয়ায় চলে যাই। উল্টো আরো সাদা বানিয়ে দেই। কিছু কিছু জিনিস রয়েছে এগুলো ব্যবহার করে আরো সাদা বানিয়ে দেই। আরেকটি বিষয় দেখি যে রোগটি ৫০ ভাগের নিচে কি না।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো রোগটি ট্রিটমেন্ট রেজিসটেন্স কি না, সেটি দেখা। অর্থাৎ রোগের চিকিৎসা করা যাচ্ছে কি না। এমন হলে আমরা সার্জারিতে চলে যাই। আর কিছু আলোপাত করার মতো বিষয় রয়েছে। যেমন : অ্যাক্রোফেসিয়াল। এটি ট্রিটমেন্ট রেজিসটেন্স। অর্থাৎ চিকিৎসা করা যায় না।
অনেক ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। আমরা ওষুধ খেতে দেই। লাগাতে দেই। ফোটো থেরাপি রয়েছে। এক্সাইমার লেজার রয়েছে, সার্জারি রয়েছে- এগুলো করি। এক একটি রোগীর ক্ষেত্রে আমরা একেক ধরনের চিকিৎসা করি। কার কোন চিকিৎসায় ভালো হবে সেটি বুঝে চিকিৎসা করা হয়।
প্রশ্ন : সার্জারি করে কি ভালো হয়?
উত্তর :  হ্যাঁ, সার্জারি করে ভালো হয়। সার্জারি করার জন্য প্রথমে এটি স্থিতিশীল কি না জানতে হবে। বইপত্রের কথা অনুযায়ী স্থিতিশীল মানে হলো এক বছর ধরে কোনো কিছু বাড়ছে না। কমার দিকে রয়েছে, বাড়ার দিকে নয়। তবে আমার অভিজ্ঞতায় দেখছি ছয় মাস স্থিতিশীল থেকেও অনেক সময় সার্জারি করে ফেলা যায়। এর ফলাফলও খারাপ হয় না।
আরেকটি বিষয় রয়েছে কোনো কোনোটির ক্ষেত্রে হাজার মেডিকেল চিকিৎসা দিলেও কাজ হবে না। সাদা প্যাচের ভেতর যে লোমগুলো থাকে, সেগুলোর রং যদি কালো থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে এখানে মেলানোসাইট এখনো সক্রিয়।
প্রশ্ন : সেই ক্ষেত্রে আপনারা কী করেন?
উত্তর : সেই ক্ষেত্রে হলো ফোটো থেরাপি। ফোটো থেরাপি দেওয়া হয় সেখানে। এতে ওষুধ খেতে হবে না।
প্রশ্ন : কতদিন পর্যন্ত এই চিকিৎসা চলে?
উত্তর : এটাতো বলা কঠিন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করে এক থেকে দুই বছর, কারো কারো ক্ষেত্রে তিন থেকে চার বছরও লাগতে পারে। এই ক্ষেত্রে তার ধৈর্য থাকতে হবে। আমি প্রথমেই রোগীকে ধৈর্য রাখার কথা বলে নিই। আমরা যদি ফটো থেরাপি করি, এর ভালো ফলাফল আসবেই। তো যেসব রোগীরা ধৈর্য ধরে থাকে, তারা শেষ পর্যন্ত ভালো ফলাফল পায়।

স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিষয়ক সবার জন্য প্রয়োজনীয়



১৩০ বছর আগে মশহুর মার্কিন আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসন (১৮৪৭-১৯৩১) যথার্থই বলেছিলেন,
 “’ভবিষ্যতের চিকিৎসক রোগীকে ওষুধ না দিয়ে তাকে শেখাবেন শরীরের যত্ন নেয়া, সঠিক খাদ্য নির্বাচন, রোগের কারণ নির্ণয় ও তা প্রতিরোধের উপায়’।”
আমারা সবাই জানি “Prevention Is Better Than Cure অর্থাৎ নিরাময় অপেক্ষা প্রতিরোধই শ্রেয়” কিন্তু আমারা যদি রোগর কারন ও প্রতিকার সম্পর্কে ভালোভাবে না জানি তাহলে প্রতিরোধ কিভাবে করব … আর সেই জন্যই আমি আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম চিকিৎসা বিষয়ক বেসিক কিছু বাংলা বই …

এই বইগুলো পড়লে আপনি বাসায় বসে বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে সাধারণ অসুখ দুর করতে পারবেন …মোট কথা আপনি ঘরোয়া উপায়ে সুস্থ থাকতে পারবেন …এবং আপনি সহজে কোন রোগে আক্রন্ত ও হবেন না …

যে দশটি রোগ প্রাণঘাতী হতে পারে

মধ্য আফ্রিকায় সাম্প্রতিক সময়ে ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর দক্ষিণ ভারতে আরেকটি প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে - আর সেটি হলো নিপাহ ভাইরাস।

দুটি ভাইরাসই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব হতে পারে এমন প্রাণঘাতী রোগের তালিকায় আছে।
২০১৫ সাল থেকেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অগ্রাধিকারে থাকা প্রাণঘাতী রোগগুলোর একটি তালিকা করেছে যেগুলো নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।
সংস্থাটি এসব রোগকে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করছে কারণ এগুলা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
আর বিজ্ঞানী বা গবেষকদের হাতে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঔষধ বা টীকার মতো প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই।
ইবোলা ও নিপাহ ভাইরাসের মতো ওই তালিকায় এমন আরও আটটি রোগ রয়েছে।
নিপাহ ভাইরাস
নিপাহ ভাইরাস বাদুড় থেকে পশুপাখি ও মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে।
জ্বর, বমি কিংবা মাথা ব্যথা এ রোগের লক্ষ্মণ।
মানুষ কিংবা পশুপাখি কারও জন্যই কোন প্রতিষেধক এখনো বের হয়নি।
এ রোগে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ।

১৯৯৮ সালে মালয়েশিয়ায় শূকরের মধ্যে প্রথম এ রোগ চিহ্নিত হওয়ার পর সেখানকার কৃষি শহর নিপাহ'র নামে ভাইরাসটির নামকরণ হয়েছে।
পশুপাখি থেকে প্রায় তিনশ মানুষের এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে যার মধ্যে অন্তত একশ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হেনিপেভিরাল রোগ
হেনড্রা ভাইরাস প্রথম চিহ্নিত হয় অস্ট্রেলিয়ায়। এটাও বাদুড় থেকেই থেকেই হয় এবং ঘোড়া ও মানুষ ভয়াবহ আক্রান্ত হতে পারে।
১৯৯৪ সালে ব্রিসবেনের একটি শহরতলীতে এটির প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এর পর থেকে অন্তত ৭০টি ঘোড়া এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আর আক্রান্ত সাত জনের মধ্যে চার জন মারা গেছে।
সিসিএইচএফ
ক্রাইমিয়ান কঙ্গো হেমোরেজিক ফিভার বা সিসিএইচএফ এক ধরনের এঁটেল পোকা (টিকস পতঙ্গ) থেকে ছড়ায়, যা মানুষের মধ্যে বড় প্রাদুর্ভাবের কারণ হতে পারে। এতে মৃত্যু হার ৪০ শতাংশ।
ক্রাইমিয়াতে ১৯৪৪ সালে প্রথম ও পরে কঙ্গোতে এটি চিহ্নিত হয়। ভাইরাসটি পুরো আফ্রিকা, বলকান অঞ্চল ও মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ার কিছু এলাকায় পাওয়া যেতে পারে।

এই রোগে হঠাৎ করেই কেউ আক্রান্ত হতে পারে যার লক্ষ্মণ মাথাব্যথা,বেশি জ্বর, মেরুদণ্ড ব্যথা, পাকস্থলীতে ব্যথা ও বমি।
ইবোলা ভাইরাস
ধারণা করা হয় এটিও প্রথম বাদুড় থেকেই এসেছে এবং ১৯৭৬ সালে কঙ্গোর ইবোলা নদীর কাছে এটির প্রথম প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। বন্য প্রাণী থেকে এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আবার মানুষ থেকে মানুষেও এটি ছড়াতে পারে।
ভয়াবহ এই রোগে মৃত্যু হার ৫০শতাংশের মতো। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে মধ্য আফ্রিকায় বড় প্রাদুর্ভাবে অন্তত ১১ হাজার মানুষ মারা গেছে।
মারবুর্গ ভাইরাস
এটি প্রায় ইবোলার কাছাকাছি একটি ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্য কেউ এতে সংক্রমিত হতে পারে। ইবোলার মতোই এর উৎস হিসেবে বাদুড়কেই ভাবা হয়। এতে আক্রান্ত হলে আট থেকে নয় দিনের মধ্যেই কারও মৃত্যু হতে পারে।
জার্মান শহর মারবুর্গের নামে এর নামকরণের কারণ হলো ১৯৬৭ সালে এখানে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। পরে তা ফ্রাঙ্কফুর্ট ও সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডেও ছড়িয়ে পড়ে।
সার্স
সার্স অর্থাৎ সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি ভাইরাসের উৎপত্তি চীনে। বিজ্ঞানীরা বলছেন খাটাশ জাতীয় বিড়াল থেকে ভাইরাসটি এসেছে । তবে এটিও বাদুরের সঙ্গে সম্পর্কিত।

২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে দু'বার এর প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। আট হাজারের বেশি আক্রান্তের মধ্যে ৭৭৪ জনের মৃত্যু হয়। ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হলে ভয়াবহ শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তবে ২০০৪ সালের পর থেকে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
মার্স
এটি সার্সের একই গোত্রীয় একটি ভাইরাস। ২০১২ সালে প্রথম সৌদি আরবে এই ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কৃত হয় এবং সেখানে আক্রান্তদের ৩৫শতাংশ মারা গেছেন।
এই রোগের নাম দেওয়া হয় মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম বা সংক্ষেপে মার্স। করোনা ভাইরাস গোত্রীয় বলে ভাইরাসটির নাম মার্স করোনা ভাইরাস। সৌদি আরব ছাড়াও এর উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে ওমান, আরব আমিরাত, মিসর ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কটি দেশে।
ধারণা করা হচ্ছে, মানবদেহে এই ভাইরাস এসেছে উট থেকে। কাতার, ওমান, সৌদি আরব ও মিসরে উটের রক্তেও মার্স ভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এ ছাড়া সৌদি আরবে বাদুড়ের রক্তেও পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। মানুষ থেকে মানুষে ভাইরাস ছড়িয়েছে হাঁচি, কাশি, নিকট অবস্থান ইত্যাদি থেকে।
রিফট ভ্যালি ফিভার (আরভিএফ)
মশা বা রক্ত খেয়ে থাকে এমন পতঙ্গ থেকে এই ভাইরাসের সূচনা হয় যা গরু বা ভেড়াকে আক্রান্ত করে থাকে। কিন্তু এটিও পরে মানবশরীরে সংক্রমিত হতে পারে। বেশী আক্রান্ত হলে মানুষের নানা অঙ্গ প্রত্যঙ্গ অকার্যকর হয়ে যেতে পারে। মূলত আক্রান্ত পশু থেকে এটি মানুষের শরীরে আসে।
এমনকি আক্রান্ত গরু বা ভেড়ার দুধ থেকেও এটি সংক্রমিত হতে পারে। ১৯৩১ সালে কেনিয়ার রিফট ভ্যালিতে প্রথম এ ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়।
জিকা ভাইরাস
মশার মাধ্যমে দ্রুত এ ভাইরাসটি ছড়ায়। ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে এমন কোনো রোগীকে এডিস মশা কামড়ানোর মধ্য দিয়ে এর স্থানান্তর হয়। পরে ওই মশাটি অন্য ব্যক্তিদের কামড় দিলে তা ছড়াতে থাকে।
এরপর ওই ব্যক্তিদের মাধ্যমেই ভাইরাসটির বিস্তার ঘটতে থাকে। তবে যৌন সংসর্গের মাধ্যমেও রোগটি ছড়াতে পারে। উগান্ডার জিকা ফরেস্ট এলাকায় বানরের মধ্যে ১৯৪৭ সালে এটি আবিষ্কৃত হয়। তবে আফ্রিকা ও এশিয়ায় এ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
লাসা জ্বর
লাসা জ্বর সংক্রমিত চর্বি, ইঁদুরের প্রস্রাব দ্বারা দূষিত খাদ্য এবং ইঁদুরের স্পর্শ করা খাবার থেকে ছড়ায়।
এই রোগে আক্রান্ত হলে জ্বরের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অংশে রক্তক্ষরণ হতে পারে এবং চোখে ও নাকে সংক্রমণ হতে পারে। লাসা জ্বরটি পশ্চিম আফ্রিকা বিশেষ করে নাইজেরিয়াতেই বেশি দেখা যায়। দেশটির লাসা শহরে এ রোগটি প্রথম দেখা দিয়েছিল ১৯৬৯ সালে।
ডিজিজ এক্স
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পৃথিবীব্যাপী মহামারি ঘটাতে পারে এমন অসুখের তালিকায় নতুন রহস্যময় অসুখ 'ডিজিজ এক্স' এর নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে।ডিজিজ এক্স শুনে অপরিচিত মনে হতে পারে। এটি কোন রোগের নামও নয়।
তালিকায় থাকা এই নামের ব্যাপারে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, ডিজিজ এক্স হলো এমন কোনও রোগ যা মানবজাতির কাছে এখনো অজানা, কিন্তু তা আন্তর্জাতিকভাবে মহামারীর রূপ নিতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, 'একটা অজানা রোগে পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক মহামারী দেখা দিতে পারে বলে আমরা অনুমান করছি এটা বুঝাতেই 'ডিজিজ এক্স' সম্ভাব্য মহামারীর তালিকায় যোগ করা হয়েছে।'

কৃষকরা এ্যালোভেরার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না








নাটোর  চলতি মৌসুমে নাটোরে প্রায় ১৫ হাজার টন এ্যালোভেরা বা ঘৃত কুমারী উৎপাদন হয়েছে। দেশের একমাত্র ওষুধী গ্রাম খ্যাত লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়ার প্রায় এক হাজার কৃষক শরবত বা জুস, ওষুধ এবং প্রসাধনীর এই উপাদান উৎপাদন করছেন। উৎপাদক থেকে ক্রেতার মাঝে সিন্ডিকেটের অবস্থান থাকায় কৃষকরা এ্যালোভেরার ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে কৃষি বিভাগ ও প্রশাসন কৃষকদের স্বার্থে কার্যকরী ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেছেন।

১৯৯৫ সালের দিকে এলাকার আফাজ পাগলা তার কবিরাজে কাজে ব্যবহারের জন্য নিজ উদ্যোগে ভেষজ উদ্ভিদের চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে পুরোগ্রাম। শেষে সারা ইউনিয়ন জুড়ে। শুধু আবাদি জমিও নয়, গ্রামের প্রতিটি বাড়ির আনাচে-কানাচে, বেড়া ও রাস্তার ধারে চোখে পড়ে ভেষজ উদ্ভিদের কাজ। তবে সব সৌন্দর্য ছাড়িয়ে এ্যালোভেরা গাছ সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন। নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসের হিসাবে লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়াতে ১৪০ প্রকার ভেষজ উদ্ভিদ জন্মে। এর মধ্যে এ্যালোভেরা ছাড়াও শিমুল মূল, অশ্বগন্ধা, মিশ্রি দানা ও শতমূল প্রসিদ্ধ। ভেষজ উদ্ভিদের ১৪০ হেক্টর মোট আবাদি জমির মধ্যে ৬৫ হেক্টরে ঘৃত কুমারী বা এ্যালোভেরা চাষ হয়েছে।

ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ১ বিঘা জমিতে এ্যালোভেরার ১২ হাজার চারা রোপন করা যায়। সেচের ব্যবস্থা দেখে সারিবদ্ধ এসব গাছ থেকে রোপনের ৩ মাস পর থেকে পাতা সংগ্রহ শুরু হয়। চাষাবাদ, পরিচর্যা ও সেচের কাজে সারা বছর জমিতে ১০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়। জৈব সার ছাড়াও পরিমাণমত ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, দস্তা ও বোরিক এসিড প্রয়োজন হয়। পাতার কালো দাগ পড়া রোধে ব্যবহার হয় চুন। পাতা ছিদ্রকারী মশাসহ অন্যান্য কীটপতঙ্গ দমনে সম্প্রতি ছত্রাক নাশক টাইকোডার্মা ও সেক্স ফেরোমেন ব্যবহারে সম্প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা। লক্ষ টাকা খরচ করে বছরে ১ বিঘা জমি থেকে খরচ বাদে লক্ষাধিক টাকার মুনাফা অর্জন সম্ভব। বিঘাপ্রতি এ্যালোভেরার গড় উৎপাদন ৩০ টন। ভেষজ উদ্ভিদ শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে নানা রকম ভেষজ ওষুধ। এর বিপণন কাজ চলছে এলাকার ৪টি স্থানে গড়ে ওঠা প্রায় ৫০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের

মাধ্যমে। তবে এ্যালোভেরা প্রক্রিয়াজাতকরণের কোন উপায় এলাকাতে নেই। পাতা সংগ্রহ করে দ্রুতই পাঠাতে হয় গন্তব্য। আর এ গন্তব্য ওষুধ ও প্রসাধন শিল্পে, জুস তৈরিতে এবং শরবতে। হামদর্দ ও ২/১টি ওষুধ কোম্পানী এ্যালোভেরার পাতা ক্রয় করে থাকে। ময়মনসিংহের ভালুকাতে স্থাপিত রপ্তানিমুখী জুস তৈরি কারক বিদেশী মালিকানাধীন তাইওয়ান সিন লিন এন্টারপ্রাইজ এ্যালোভেরার বড় ক্রেতা। এছাড়া প্রতিদিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ট্রাক বোঝাই এ্যালোভেরা যাচ্ছে।

এ্যালোভেরার পাতা সংরক্ষণের সুযোগ না থাকায় নিরুপায় উৎপাদনকারী কৃষক থেকে ক্রেতা পর্যন্ত বিপণন কাজে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কাঁঠালবাড়ীয়া এলাকার কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ২৫ কেজির এ্যালোভেরা বাসকেট তাইওয়ান কোম্পানীর লোকজনের বিক্রি করি ৬০ টাকায়। আর শরবতের বাজারের জন্য ৩০০ কেজির প্যাকেটের বিক্রয় মূল্য ১ হাজার টাকা। অর্থাৎ কৃষকরা কেজি প্রতি আড়াই থেকে সাড়ে ৩ টাকা দরে এ্যালোভেরা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ কৃষি বিভাগের পরিসংখ্যান তথ্যে দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টাকা।

লক্ষ্মীপুর-খোলাবাড়িয়া ভেষজ উৎপাদন ও বিপণন সমবায় সমিতির সদস্যদের জন্য সমবায় বিভাগ কিছুদিন আগে ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছিল। এলাকার কৃষকদের সাথে মত বিনিময়ের জন্য সাম্প্রতিক সময়ে এসেছিলেন কৃষি সচিব। সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল কাদের প্রামাণিকসহ এলাকার কৃষকরা সিন্ডিকেটের কাছে অসহায়ত্বের কথা জানান।

তাইওয়ান সিন লিন এন্টারপ্রাইজের একজন ক্রয় প্রতিনিধি এলাকাতে অবস্থানের কথা থাকলেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। কৃষকদের উপেক্ষা করে ৪ জনের সিন্ডিকেটের কাছ থেকে ক্রয় প্রতিনিধি এ্যালোভেরা ক্রয় করেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ঢাকা সহ অন্যান্য স্থানে আড়তের মাধ্যমে এ্যালোভেরা পাঠাতেও সিন্ডিকেট কাজ করছে। তবে কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়কৃত এ্যালোভেরা ঢাকার ৫০টি স্থানে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালনকারী কমিটির উপদেষ্টা উপাধ্যক্ষ আলতাফ হোসেন জানান, আমরা ঢাকার বাজারের চাহিদার সাথে স্থানীয় সরবরাহের সমন্বয় করে থাকি মাত্র।

অর্জুনপুর এলাকায় ৫বিঘা জমিতে এ্যালোভেরা চাষ কারী আদর্শ কৃষক আলফাজুল আলম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ্যালোভেরার মূল্য হ্রাস কারসাজির অভিনব প্রতিবাদ করেছেন। তিনি এ্যালোভেরার কয়েক মণ পাতা অল্প দরে বিক্রি না করে জমির পাশের গর্তে রেখে জৈব সার তৈরি করছেন। আলফাজুল আলম বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে প্রশাসনিক কঠোর পদক্ষেপ প্রয়োজন। এছাড়া প্রাণ কোম্পানীসহ অন্যান্য জুস তৈরি কারী কোম্পানী ও প্রসাধন সামগ্রীর তৈরি কারী কোম্পানী স্থানীয় বাজার থেকে এ্যালোভেরা ক্রয় করার পদক্ষেপ গ্রহণ করলে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরির মাধ্যমে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণ হতে পারে।

নাটোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড. সাইফুল আলম কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে ওষুধি গ্রামে খুব দ্রুততার সাথে সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনা সংগঠন গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন ভেষজ গ্রামকে নাটোরের ঐতিহ্য হিসেবে উল্লেখ করে কৃষকদের স্বার্থ সংরক্ষণে সব রকমের প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণের অঙ্গীকার প্রদান করেছেন।কৃষকরা এ্যালোভেরার ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না

কোন ১০টি ঔষধ বাসায় সবসময় রাখবেন,ঔষধ গুলোর নাম ও ব্যাবহার বিধি জেন নিন।





কথায় আছে বিপদের কোন হাত,পা নেই।তাই যে কোন সময় ছোট বড় রোগ মানুষের শরীরে দেখা দিতে পারে।তাই এই ঔষধ  গুলো বাসাই মজুদ রাখা ভাল।


১. প্যারাসিটামল (Paracetamol)
২. ট্রামাডল (Tramadol)
৩. টাইমনিয়াম মিথাইলসালফেট (Tiemonium Methylsulfate)
৪. এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/omeprazole)
৫. অ্যালুমিনিয়াম হাইডঅক্সাইড (Aluminium hydroxide suspension)
৬. ওরস্যালাইন (Oral Rehydration Saline)
৭. ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটাডিন (Fexofenadine/Rupatadine)
৮. সিলভার সালফাডায়াযিন অয়ন্টমেন্ট (Silver sulfadiazine ointment)
৯. পোভিডন-আয়োডিন মলম (Povidone-iodine ointment)
১০. অ্যাসপিরিন (Aspirin)


কোন ঔষধ কোন রোগের জন্য জেনে নিন।

প্যারাসিটামল(Paracetamol)-জ্বরের জন্য প্রথমে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে (<১০৩F) বা ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়াথেকে বিরত থাকুন.

ট্রামাডল (Tramadol)-কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন।

টাইমোনিয়াম_সালফেট (Tiemonium_sulphate)-যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ।

এসোমিপ্রাযল /# ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/ Omeprazole )-অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করেভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে। অনেক সময় গ্যাসের জন্য
অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়, এজন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ
করুন।

অ্যালুমিনিয়াম_হাইড্রক্সাইড_সাস্পেনশন (Aluminum/hydroxide suspension)-বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য
২চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন।
এরপার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই।

ওরস্যালাইন(Oral Rehydration Saline)-ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনতিবিলম্বে ডাক্তার দেখান যদি; আপনার ডায়রিয়ার সাথে জ্বরও হয় ২ দিনের বেশি সময় ডায়রিয়া থাকে মুখ শুকিয়ে গিয়ে পিপাসা লাগে খুব কম অথবা একেবারেই পেশাব না
হলে প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হলে পায়খানার সাথে রক্ত গেলে আপনার উচ্চ রক্তচাপ (hypertension) থাকলে ওরস্যালাইন খাওয়ার আগে রক্তচাপ মেপে
নেয়া ভাল।
ফেক্সোফেনাডিন /রুপাটিডিন (Fexofenadine/Rupatadine).এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো তুলনামুলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ,তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে।
      

I Will Do Pro1 SEO Package And Explode Your Ranking

I Will Do Pro1 SEO Package And Explode Your Ranking


Welcome to my Pro1 SEO Package. 

After many attempts I have finally found the answer to what needs to happen to help your website rank up, so make sure you don’t miss out!

You are now on a gig that will provide you with a Pro1 SEO Package that is designed to work across all websites.

This package will lift you higher on the search engine rankings, which in turn will provide you with FREE organic traffic to your site via highly targeted visitors.
Using my tried and tested strategy I can provide you with the following:
-  Increased website authority
-  Top-ranked website based on keywords
-  Manually built backlinks with only high PR site, using unique content
-  Google Penguin 3.0 and Panda 4.1 safe work
-  100% White Hat, manual work only
-  Totally Unique articles
-  Flawless  Approval rate
-  Do-follow backlinks
-  Only a Natural mix of anchored and non-anchored high PR backlinks
-  Full reports and Logins

Please see the image attached to this gig to choose the correct plan for you.

Any questions please message me.
I’m more than happy to discuss things further.

শ্বেতী রোগের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা {ডা:সৈকত দাস}

আমাদের দেহের মেলানোসাইট মেলানিন তৈরি করা বন্ধ করে দিলে সাদা সাদা প্যাচের মতো তৈরি হয়। আর একে শ্বেতী রোগ বলে। বর্তমানে শ্বেতী ...